লকডাউনের মধ‍্যেই বাঁকুড়ার পাত্রসায়ের এলাকায় দাঁতালের উপস্থিতি , ভীড় স্থানীয়দের

19th April 2020 বাঁকুড়া
লকডাউনের মধ‍্যেই বাঁকুড়ার পাত্রসায়ের এলাকায় দাঁতালের উপস্থিতি , ভীড় স্থানীয়দের


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) :   সাতসকালে পাত্রসায়রে ধানজমিতে দাপিয়ে বেড়াল বুনো হাতি দেখতে ভিড় সাধারণ মানুষের । 

'করোনা' সতর্কতায় দেশ জুড়ে 'লকডাউন' চলছে। এর মধ্যেই সরকারী নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে শুধুমাত্র হাতি দেখার তাগিদে রাস্তায় নেমে পড়লেন অসংখ্য মানুষ। বাঁকুড়ার পাত্রসায়র এলাকার ঘটনা।

গতকাল বর্ধমান থেকে একটি বুনো হাতি পাত্রসায়ের এলাকায় ঢুকে দাপিয়ে বেড়াচ্ছিল এবং সেই হাতিটি রাতের বেলায় বারাসাত রামপুর কমলাসায়র ধগরিয়া জলজলা এলাকায় ধান জমিতে দাপিয়ে বেড়ায় । আজ ভোড়বেলা সোনামুখী ও পাত্রসায়র বনদপ্তরের কর্মীরা যৌথভাবে ঐ হাতিটিকে সরিয়ে আনার চেষ্টা করেন পাত্রসায়রের বনচিতি জঙ্গলে । এই খবর পেয়ে পাত্রসায়রের বারাসাত রামপুর জলজলা ধগরিয়া এলাকার প্রচুর মানুষ হাতি দেখতে রাস্তায় নেমে পড়েন । তবে চাষীদের ধান জমে কিছু টাকা ক্ষতি হয়েছে । 

সোনামুখী বনাধিকারিক দয়াল চক্রবর্তী বলেন, গতকাল হাতিটি বর্ধমান থেকে সোনামুখী জঙ্গলে আসে এবং তারপরে আমাদের কাছে খবর আসে হাতিটি দামোদর নদী পেরিয়ে গিয়েছে অবশেষে সোনামুখী বনদপ্তর এবং পার্শ্ববর্তী বনদপ্তর এর সহযোগিতা নিয়ে হাতিটিকে পাত্রসায়রের বনাচিতি জঙ্গলে পাঠিয়ে দেওয়া হয় তবে যে সমস্ত চাষীদের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে সরকারি নির্দেশ মতো তাদেরকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে বলে জানান তিনি





Others News

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) : তোপধ্বনি তে কেঁপে উঠল বিষ্ণুপুর । শুরু হল মল্ল রাজাদের ১০২৫ বছরের অষ্টমী পূজোর সন্ধিক্ষণ।

প্রাচীণ ঐতিহ্য ও পরম্পরা মেনে আজও নিষ্ঠাভরে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে দেবী দুর্গা 'মৃন্ময়ী নামে পূজিতা হন। জানা গিয়েছে, পূর্ব প্রথা মতোই প্রাচীণ রীতি মেনে মহাষ্টমীর সন্ধিক্ষণে কামান দাগার মধ্য দিয়ে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে শুরু হয়ে গেল 'বড় ঠাকরুনে'র পুজো। তবে এবার করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও দর্শক সাধারণের উপস্থিতি ছিল বাঁধভাঙ্গা। সরকারী নিয়মকে মান্যতা দিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুরু হয়েছে দেবী বন্দনা। এমনকি এখানে কামান দাগার পর্বেও অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছরে অল্প সংখ্যক লোককে নিয়ে ঐ কাজ সম্পূর্ণ করা হয়েছে।

শুরুর সময় থেকে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ ঘোষণা করা হয় বড় কামানের গর্জনের শব্দে। যার আওয়াজে রাজবাড়িতে আরতি নৃত্যও শুরু হয়ে যায়।